রাজশাহী খড়খড়িতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

রাজশাহী খড়খড়িতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

নিজেস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিবাদে জমিতে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যরা।

গতকাল শনিবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভুক্তভোগিরা তারা নিজের পাঁচ কাটা জমিতে বেড়া দেয়। পরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন এসে বেড়া ভাঙতে লাগলে এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে। এসময় তহুরা ও তার মেয়ে ঝরনা, রিমা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নগরের খড়খড়ি এলাকায় তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করছে। সেখানে পার্শ্ববর্তী পবা উপজেলার ললিতাহার কমলাপুর গ্রামের আয়নাল হকের পৌনে পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে। একই সঙ্গে আয়নাল হকের ভাই আবুল কালাম, সেন্টু, ইদ্্িরস ও আব্দুল কাদেরের জমি ছিল।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই জমি কেনার প্রস্তাব দিলে ২০১০ সালে আয়নাল হকের ভাইয়েরা তাদের অংশ বিক্রি করে দেয়। কিন্তু আয়নাল হক তার অংশ বিক্রি করেননি।

আয়নাল হকের বড় মেয়ে ঝরনা খাতুন অভিযোগ করেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে কিছু না জানিয়ে গত ৩০ নভেম্বর তাদের জমিতে থাকা বড় পাঁচটি আমের গাছ ও একটি খেজুরের গাছ কেটে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে নেয়। তাদের জমির সঙ্গে একটা সরকারি রাস্তা ছিল সেটাও তারা বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে।

এ ঘটনার পরের দিন ১ ডিসেম্বর তার বাবা নগরের চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আজ শনিবার ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী এসে ৩ দিনের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের জমি থেকে তুলে নিয়ে যান।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ওরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওসমান গণি বলেন, তিনি রাজশাহীর বাইরে রয়েছেন। কেউ বিষয়টি তাকে অবহিত করেননি।

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও কোনো বড় প্রতিষ্ঠান হলে কাউকে না কাউকে একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যাদের জমি তারা যদি তাঁর কাছে আসে তাহলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।

মতিহার বার্তা ডট কম ০২ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply